মনির খান, স্টাফ রিপোর্টার: নড়াইলের লোহাগড়ার ১৯ নং লাহুড়িয়া মৌজার চূড়ান্ত যান্সের দায়িত্ব পায় সেটেলমেন্ট অফিসের কপিস্ট কাম বেঞ্চ সহকারী রবিউল ইসলাম। কিন্তু প্রায় এক বছর ধরে সেই মৌজার কাজের নেই কোন অগ্রগতি এবং ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, কেস টেম্পার, খতিয়ান টেম্পার, খতিয়ানের পাতা পাল্টানো, কেসের পাতা পাল্টানো, কেস গুম করা, নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তার নামে ।
গত ২৭ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে মোঃ আবুল কাশেম, মনিরুল ইসলাম, সৈয়দ লিয়াকতসহ এলাকাবাসী যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং অনুলিপি দিয়েছেন বিভিন্ন দপ্তরে । লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার ১৯ নং লাহুড়িয়া মৌজার চূড়ান্ত যান্সের দায়িত্ব পান সেটেলমেন্ট অফিসের কপিস্ট কাম বেঞ্চ সহকারী রবিউল ইসলাম সহ আরো কয়েক জন ।
মৌজা বরাদ্দ পাওয়ার পর রবিউল ইসলাম কিছু বহিরাগত লােকজন নিয়ে যথারীতি নিয়মে অফিসে আসে তার কিছু ভাড়াটিয়া মাস্তান, নড়াইল সদরের আরো কিছু আছে নড়াইলে ডিসি কোর্ট, জর্জ কোর্টসহ বিভিন্ন কোর্টের চিহ্নিত দালাল। তাদের কে দিয়ে নােটিশজারী করায় এবং সাদা কাগজে স্লিপ বানায় পাঠায় দেয় মৌজার ভূমি মালিকদের বরাবর এবং ভূমি মালিকদের তারা পরিচয় দেয় যান্স সার্ভেয়ার, যান্স মােহরী, যান্স পিওন নামে। বিশেষ সূত্রে জানা যায় রবিউল ইসলাম অফিসে ঢােকার সময় ব্যাগ নিয়ে আসে এবং অফিসের ছুটি হওয়ার পরে ব্যাগে করে বই, খসড়া,
কেসসহ অনেক প্রয়ােজনীয় কাগজ নিয়ে বাসায় যায়। বাসায় গিয়ে তার এই দালালদের সাহায্যে ভূমি মালিকদের বাসায় নিয়ে মােটা অংকের টাকা নিয়ে অবৈধভাবে জমির রেকর্ড দেয়। আর এভাবে ব্যাগে করে কেস বই একটা একটা করে নিতে নিতে পুরা মৌজার বাই কেসসহ প্রয়ােজনীয় সব নিয়ে নড়াইল সদর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে নিয়ে যায়। যেমন নিয়েছে ৮৯নং লােহাগড়া মৌজা,
১২৩নং মল্লিকপুর মৌজা, ১১২নং আমাদা মৌজা এবং মৌজার প্রয়ােজনীয় সব কাগজ নিয়ার পর তার চিহ্নিত কিছু দালালদের দিয়ে হাত নােটিশ পাঠিয়ে কেস ঘষা, মাজা, বই কাটা ছিড়া করে নতুন রেকর্ড দিয়া সহ নানা অপকর্ম করে যাচেছন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানান ৮৯নং লােহাগড়া মৌজার ফাইনাল যান্স চলাকালিন সময়ে রবিউল ইসলামের নামে একাধিক বার মন্ত্রণালয়সহ সেটেলমেন্ট বা ভূমি রেকর্ডের সব দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযােগ পড়ে এবং বেশ কিছু জাতীয় পত্রিকায় তার অপকর্মের কথা লেখালেখি হয়।
এ বিষয়ে লোহাগড়া সেটেলমেন্ট অফিসের কপিস্ট কাম বেঞ্চ সহকারী রবিউল ইসলামের সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি সবকিছু অস্বীকার করেন। সাংবাদিকগন তার কাছে একটি মৌখিক বক্তব্য চাইলে তিনি তাদেরকে নয় ছয়-করে বক্তব্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন। এবিষয়ে লোহাগড়া সেটেলমেন্ট অফিসের এএসও জাহিদ হোসেনের সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি বলেন,১৫ নভেম্বর ২০২১ তারিখ যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার এসে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।